রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
ধর্ম ডেস্ক:
হজরত মায়মুন কুরদি (রা.) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, আমি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি যে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি কম বেশি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মহর ধার্য করে বিবাহ করে, কিন্তু মনে মনে স্ত্রীর হক আদায় করার ইচ্ছা রাখে না বরং ধোঁকা দিয়ে থাকে। অতঃপর পরিশোধ করা ছাড়াই মৃত্যুবরণ করল, তাহলে লোকটি কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহর সামনে জিনাকারী হিসেবে উঠবে। আর যে ব্যক্তি কারও থেকে ঋণ গ্রহণ করে তা পরিশোধ করার ইচ্ছা রাখে না বরং ধোঁকা দিয়ে অন্যের মাল গ্রাস করে; অতঃপর সে অপরিশোধিত অবস্থায় মারা গেলে আল্লাহর সামনে চোর সাব্যস্ত হয়ে উঠবে।’-তিবরানি
তাফসিরে মারিফুল কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যদি স্ত্রীর মোহরানা পরিশোধ করা না হয়ে থাকে তবে অন্যান্য ঋণের মতোই প্রথমে মোট ত্যাজ্য সম্পত্তি থেকে মোহরানা পরিশোধ করার পর ওয়ারিশদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। এই অবস্থায় যদি মৃত স্বামীর আর কোনো সম্পত্তি অবশিষ্ট না থাকে, তবে অন্যান্য ঋণের মতো সম্পূর্ণ সম্পত্তি মোহরানা বাবদ স্ত্রীকে সমর্পণ করা হবে এবং এতে কোনো ওয়ারিশই অংশ পাবে না।’
হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের ওপর একটি দিনার অথবা একটি দিরহাম ঋণ রেখে মৃত্যুবরণ করল তা তার পুণ্য থেকে পরিশোধ করা হবে। কেননা সেখানে কোনো দিনারও নেই দিরহামও নেই।’-ইবনে মাজাহ
ঋণ শোধে গড়িমসির শাস্তি
ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা এক প্রকার অর্থনৈতিক অপরাধ। ইসলাম এ রকম অপরাধ নিরসনে নির্ণয় করেছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। হাদিসে এসেছে, হজরত শারিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ধনী ব্যক্তির গড়িমসি করা তার মানহানি ও শাস্তিকে বৈধ করে দেয়।’ হজরত ইবনুল মোবারক বলেন, ‘মানহানি হলো-রাগান্বিত হওয়া আর শাস্তির অর্থ হচ্ছে বন্দি করা।’-সুনানে আবু দাউদ
হজরত মাকহুল (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই হকদারের রয়েছে হাত ও জিহবা।’-দারে কুতনি
অর্থাৎ হাত বলে আটক করা ও বল প্রয়োগ করা এবং জিহবা বলে তাগাদা করা ও আইনের আশ্রয় নেওয়া।-ইলাউস সুনান
এ ক্ষেত্রে জরিমানা বা কোনোরূপ অর্থদণ্ড ঋণ পরিশোধকে বরং জটিল থেকে জটিলতর করার নামান্তর।
ভয়েস/আআ